শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রামে ৫০০ শয্যার বিশাল হাসপাতাল নির্মাণে প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষ চিকিৎসাসেবা পেতে নির্ভর করেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর। ২ হাজার ২০০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩ হাজার ৩০০ জন ভর্তি হওয়া রোগীকে সেবা দেওয়া হয়, যা হাসপাতালের শয্যা সক্ষমতার চেয়ে ১ হাজার ১০০ জন বেশি।

এ অবস্থায় চমেক হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে ৫০০ শয্যার আরেকটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় কর্ণফুলী উপজেলায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তিনি কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং এলাকায় নতুন উপজেলা ভবনের পাশে খলিল মীর কলেজ সংলগ্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা মূল্যায়ন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন নূরজাহান বেগম।

এছাড়া আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির বিষয়েও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। পাশাপাশি এই স্থানে হাসপাতাল নির্মিত হলে শুধু কর্ণফুলী উপজেলা নয়, পার্শ্ববর্তী অন্তত তিনটি উপজেলার জনগণ সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, একান্ত সচিব ডা. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রয়া ত্রিপুরা, কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা প্রমুখ।

এর আগে গত ১৬ মার্চ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম পটিয়ার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন এলাকায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের জায়গা পরিদর্শন করেন। এ সময় আইডিয়াল স্কুল ১ একর এবং স্থানীয় ব্যক্তি পর্যায়ে ১ একর জায়গা প্রদানের কথা জানানো হয়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালের জন্য খুঁজছিল ১০ একর জায়গা।

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, পটিয়া ও কর্ণফুলীসহ কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলার রোগীদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ভরসা চমেক হাসপাতাল। সেখানে পৌঁছাতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাতায়াত সময়সাপেক্ষ হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অনেক সময় মারা যায়। হাসপাতালটি নির্মাণ হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ১০ একর জায়গা দরকার। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সম্ভাব্য জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই হাসপাতালটি নির্মাণে আগ্রহী। তাই কাজ দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতাল নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখো মানুষ উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো খবর